অনলাইন ডেস্ক আজকের তালা ১১ মে ২০২৫ , ৬:৫১:৫৮

সাতক্ষীরা তালা প্রতিনিধি ::-
সাতক্ষীরা তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০টি এসির আউটডোর চুরি হয়েছে। প্রায় ১ সপ্তাহ আগে এগুলো চুরি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এসিগুলো ভালো থাকলেও দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হওয়ার কারনে চুরির বিষয়টি গত শনিবার সন্ধ্যায় জানাজানি হয়। ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তালা থানায় একটি জিডি করেছেন।কিন্তু সাধারণ জনগণের প্রশ্ন হাসপাতালের নাইটগার্ড থাকতে কিভাবে চুরি হয়।
জানাগেছে, তালা উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার মো. ইকবল হোসেন হটকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে তালা হাসপাতালের নারী ও পুরুষ সাধারন ওয়ার্ডে ১০টি এসি স্থাপন করেন। সেসময়ে কতিপয় স্বার্থান্বেসী ব্যক্তি এটাকে সাধুবাদ জানান এবং ইকবল হোসেন তালা উপজেলাতে দায়িত্বরত থাকা পর্যন্ত এসিগুলো ব্যবহৃত ছিল। কিন্তু ইউএনও ইকবল হোসেন’র বদলির পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে এবং সাধারন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন কিছু রোগীদের স্বার্থে এসিগুলো ব্যবহার বন্ধ করেদেন। দীর্ঘদিন ধরে সেভাবে এসিগুলো ভাল থাকলেও অব্যবহৃত ছিল। এরইমধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় এসির ১০টি আউটডোর চুরির বিষয়টি জানাজানি হয়। ধারনা করা হচ্ছে- এগুলো প্রায় ১ সপ্তাহ পূর্বে যেকোনও সময়ে চুরি হতে পারে।
এদিকে, এসির আউটডোর চুরির ঘটনার জানাযানি হবার পর শনিবার রাতে হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারী বিল্লাল হোসেন নামের এক হোটেল কর্মচারীকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তাকে একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে এসির আউটডোর চুরির অভিযোগে বেধে রাখে এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শন সহ মারপিট করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক পর্যায়ে গভীর রাতে সংবাদ পেয়ে তালা থানা পুলিশ হাসপাতালের ওই কক্ষ থেকে বিল্লালকে উদ্ধার করেন। বিল্লাল হোসেন মানুষিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ্য এবং তালা বাজারের একটি ভাতের হোটেলে কাজ করেন। এরআগে বিল্লাল তালা হাসপাতালে দৈনিক ভাতা চুক্তিতে প্রহরীরল কাজ করতেন। বিল্লালকে আটকিয়ে মারপিট করা এবং হাসপাতালের মালামাল চুরির ঘটনায় তালা উপশহরের মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।স্থানীয় লোকজন কাছ থেকে জানা যায় যে যারা নাইটগার্ড এবং মালি পোস্টে নিয়োগ প্রাপ্তল রয়েছেন।তারা সবাই অফিস সহকারীল ডাক্তারদের সহকারীর দায়িত্ব পালন করছেন।
এবিষয়ে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাজিব সরদার জানান, আনুমানিক ১সপ্তাহ আগে যে কোনও সময়ে এসির আউটডোরগুলো চুরি হতে পারে বলে বিষয়টা এড়িয়ে যান।শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানতে পারার পর থানায় জিডি করার জন্য আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে বলা হয়েছিল এবং সেভাবে রবিবার সকালে জিডি করা হয়েছে। এছাড়া বিল্লালকে ধরে এনে আটকিয়ে রেখে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি বিষয়টি একদমই ঠিক হয়নি।কারন বিষয় টা আইনের মাধ্যমে কাজ টা করা উচিত ছিলো।এরপর বিষয়টি জানাজানি হয় জানাজানির পরে স্থানীয় লোকজন বলে তাকে ছেড়ে দিতে পরে তাকে ছেড়ে দেয়।তবে,ঘটনাটি তালা উপজেলা বাসীর জন্য খুবই দুঃখজনক ।