আঞ্চলিক

তালায় চিহ্নিত সরকারী কাঠচোর চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী নারী লোভী সাংবাদিক নাজমুল কে গণ-ধোলাই

 অনলাইন ডেস্ক আজকের তালা ৪ এপ্রিল ২০২৫ , ৮:২৪:৪২

তালায় চিহ্নিত সরকারী কাঠচোর চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী নারী লোভী সাংবাদিক নাজমুল কে গণ-ধোলাই

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি::

সাতক্ষীরার তালায় হলুদ সাংবাদিক নাজমুল হক খান কে গোপালপুর ইকোপার্কের গাছ চুরি, চাঁদা আদায়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, মাদক সেবীদের আশ্রয় ও বিক্রয়ে সহযোগীতা করা, নারীদের সাথে অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক সহ নানাবিধ অপরাধের কারণে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসি। প্রতিরোধে প্রশাসনের সহযোগীতা না পেয়ে এলাকাবাসি একত্রিত হয়ে গণ-ধোলাই দিয়েছে। এ ঘটনায় নাজমুলের দেহরক্ষী সবুজ এখন তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নাজমুল ঘোনা গ্রামের আবুল হোসেন খার ছেলে। তারা স্বপরিবারে নানার বাড়িতে বসবাস করে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুর জম্মার নামাজের পরে ঘোনা শেখপাড়া জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

ইসলামকাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শেখ জাকির হোসেন বলেন, কিছুদিন পূর্বে নাজমুল ও দেহরক্ষী সবুর গোপালপুর ইকো পার্কের ২ টি গাছ ছুরি করে বিক্রি করে। আমরা বাঁধা দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন আছে বলে জানায়। রাতে কেন নিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে আমাদের মারতে উদ্দত হয়। এই ঘটনার রেশ ধরে আজ সকালে ইকো পার্কে আমাদের উপর চড়াও হয় এবং আমাদের মারতে উদ্দত হয়। আমরা ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে এলাকা ত্যাগ করি। এরপরে জুম্মার জানাজ শেষে মসজিদের সামনে নাজমুল, ইকো পার্কে সরকারী জায়গা জবরদখল করে বসবাসকারী আজিজুল ইসলামের ছেলে সবুজ, উথালী গ্রামের গপ্ফার মোড়লের ছেলে মিজানুর, খানপুর গ্রামের কথিত সাংবাদিক লিটন, তালার মোবাকরপুর গ্রামের রাজু সহ ১০-১২ জন লোক একত্রিত হয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় ইসলামকাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক সাব্বির হোসেন আহত হয়। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে তাদের উপরও চড়াও হয়। একপর্যায়ে ঠেলাঠেলিতে সবুজ ইটের উপর পড়ে যায় এবং গ্রামবাসি একত্রিত হয়ে তাদের গণ-ধোলাই দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, নাজমুল হক খানের আদি বাড়ি কলারোয়া উপজেলার আলাইপুর গ্রামে। তারা স্বপরিবারে নানার বাড়িতে বসবাস করে। এলাকার সকল অপকর্মের হোতা এই নাজমুল। সে ডুমুরিয়া থানার এক নারী এস আই এর সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাকে বিয়ের প্রলোভোন দেখিয়ে স্বামী স্ত্রী রুপে বসবাস করত এবং শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলে ছিলো। পরি তাকে আর বিয়ে না করায় ওই এস আই ঘোনা গ্রামে তার বাড়িতে উঠে। এসময় চাকরী চলে যাওয়ার ভয়ভতী দেখিয়ে বাড়ি থেকে রেব করে দেয়।

তারা বলেন, সে সাংবাদিকতার নামে এলাকায় চাঁদাবাজি করে। গত বছর কলারোয়া এক চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবি করার কারণে তাকে আটকিয়ে গণ-ধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়ে ছিলো। জেলার দেবহাটা উপজেলায় চাঁদাবাজি করার সময় জনগণ আটকিয়ে গণ-ধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছিলো।

তারা আরও বলেন, নাজমুল সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দোসর তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাংবাদিক নজরুল ইসলামের সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান। সাংবাদিক নজরুলের স্বার্থে আঘাত পড়লে এই নাজমুলের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা করা হয়। গত কিছুদিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে এক সাংবাদিক কে হেনস্তা করেছিলো সে। সাংবাদিক নজরুলের ছত্রছায়ায় এমন কোনো অনৈতিক কাজ নেই যা সে করে না বলে জানান তারা।

এঘটনায় নাজমুল খানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

আরও খবর 27

Sponsered content